বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে প্রটোকল, আলোচনায় দুই ওসি

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রামে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে দুই ওসির প্রটোকল দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হলে দুইজন ওসির নেতৃত্বে এই প্রটোকল দিতে দেখা যায়।

দুই ওসি হলেন-কোতোয়ালী থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী ও চকবাজার থানার ওসি জাহেদুল কবির। দুইজনেরই বাড়ি সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার জেলায়। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশের দলীয় লেজুড়বৃত্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এই অবস্থায় দুই ওসির এমন কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুইটার দিকে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় শোভাযাত্রা পূর্বক সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল চারটার কিছুটা আগে সমাবেশস্থলে আসেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতারা তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় দুই ওসি নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে বিএনপি নেতার কাছাকাছি যান।

সমাবেশস্থলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা দুই ওসির নেতৃত্বে তাকে ঘিরে ধরে মঞ্চে তুলে দেন। এসময় মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে দুই ওসিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড় সামলাতেও দেখা যায়। এসময় মঞ্চে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক ও গোলাম আকবর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সমাবেশস্থলে আসার আগে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি। এ সময় ওসি জাহেদুল কবির চলে যান। ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে বহনকারী ট্রাকে করে লালদিঘীর পাড় পর্যন্ত যান। সেখানে শোভাযাত্রা শেষ হয়।

সিএমপি সূত্রে জানা যায়, সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা থাকলেও বিএনপি নেতাদের প্রটোকল দেওয়া নিয়ে কোন নির্দেশনা ছিল না। দুই ওসি অতিউৎসাহী হয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রটোকল দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে দুই ওসির সরকারি ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বলেন, প্রটোকলের বিষয়টা আমি জানি না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোতোয়ালী থানার ওসি সেখানে ছিলেন। দলীয় দ্বন্দ্বের কারণে সেখানে ঝামেলা হতে পারে এমন তথ্য ছিল। সমাবেশ শেষে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পুলিশের উপস্থিতির কারণে বড় কিছু হয়নি।

তবে বিএনপির কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে এসেছিলেন। তিনি তো এমন প্রটোকল পাননি। এটিতো তার নিজের এলাকা।

আরও খবর